সংবাদ শিরোনাম :
শ্রীনগর শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজুকে গ্রেফতার করে তার কাছে থাকা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের আবেদন

শ্রীনগর শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজুকে গ্রেফতার করে তার কাছে থাকা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের আবেদন

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাধী আর্ন্তজাতিক মানের কিলার তাজেল, সোহরার ইতিপূর্বে যাদেরকে ক্রসফায়ারে দেওয়া হয়েছে, তাদের ছোট ভাই সাজু মর্তমানে সেকেন্ড ইন কমান্ড। ৫লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় সাজুর নেতৃত্বে মনিরকে আত্রেয়য়াস্ত্র ঠেকিয়ে চোখে কালো কাপড় দিয়ে বেঁধে অপহরণ ও ব্লাকমেইল করে। ২ সেপ্টেম্বর থানায় এজহার দায়ের করা হয়েছে অদ্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করে অপহৃত মনিরের বোন আলেয়া বেগম।

তাদের দাবীকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করিলে রাত ৯ টায় নৌকায় তুলে আড়িয়ল বিশের মাঝে নিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মনির পানিতে পড়ে জীবনে বেঁচে যায়। উক্ত শ্রীনগর থানার এজাহার দায়ের করা হয়েছে। তাই মোবাইলটি ট্রাকিং করে সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করা ও তাদের কাছে থাকা পুলিশের ব্যবহৃত অস্ত্রসহ অন্যান্য অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়ে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছে অপহরণ হওয়া মনিরের বোন আলেয়া বেগম।

মান্নান (৪৪), রফিকুল (৪১), রোবেল (৩৮), শাকিল চৌকিদার (২৬), সাজু শেখ (২৫), বাবু (২২), মিজানুহ ২৭), আমিন খান (২৬), তুষার খান (২৮), রিফাত সিকদার(২৫), অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জন ৩১ আগষ্ট সন্ধ্যা ৬টার সময় স্থানীয় আক্কাস মেম্বারের বাড়ীর সামনের সড়কে দীর্ঘদিন সৌদি প্রবাসী আমার সহোদর ভাই মোঃ মনির দেশে এসে ব্যবসা করা অবস্থায় ক্রয়কৃত জায়গা দেখার জন্য বামড়া ইউনিয়নের রুদ্রপাড়া (চরপাড়া) যায় এবং সন্ধ্যা ৬টার সময় স্থানীয় মেম্বার আক্কাসের সাথে জমি সংক্রান্তে কথা শেষ করে যাওয়ার সময় সাজু শেখ ডাক দেয় আমার ভাই কিছু বুঝার আগেই সমস্ত আসামীরা আসিয়া আমার ভাইয়ের পাথরোধ করে আটকে ফেলে এবং কালো কাপড় দিয়ে আমার আইয়ের চোখ বেঁধে অপহরণ করে।

তখন সন্ত্রাসীরা আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে বলে চল শালা। কিছুদূর যাওয়ার পর আমার ভাই চোখ খুলে দেখে সে একটা ঘরের ভিতরে। সেখানে কিছু বখাটে ছেলেরা বিভিন্ন ধরনের পুলিশের ব্যবহার করা অস্ত্র নিয়ে বসে আছে। পরে সন্ত্রাসীরা শীরের বিভিন্ন স্থানে কিল, ঘুষি, লাথি-সহ ঐ অস্ত্রগুলো দিয়ে মারা শুরু করে। পরে পকেটে থাকা ১৫হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। ৫লাখ টাকা দাবীকৃত চাঁদা না দেওয়ায় তাকে অপহরণ করে তারা।

ভূক্তভোগী মনির বলেন, আমাকে খারা করে হাতে একটা পিস্তল ধরিয়ে দিয়ে ছবি তুলতে বলে। সন্ত্রাসী বলে সেনাবাহিনীর কাছে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। গলায় খামছা দিয়া পাচাইয়া হত্যা করার জন্য ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে সে নৌকা থেকে পানিতে পড়ে যায়। তখন আমার ভাই ডুব দিয়ে কচুরীর নিচে লুকাইয়া বেঁচে যায়।

Facebook Comments Box





© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ দৈনিক নাগরিক বাণী